আচঁলে মেঘনার মায়া ডাকাতিয়া বুকে রহমতখালি বয়ে চলে মৃদু এঁকে বেঁকে নারিকেল সুপারি আর ধানে ভরপুর আমাদের আবাস ভূমি প্রিয় লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুর জেলাআপনাকে সুস্বাগতমবাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর জেলার আয়তন ১৫৩৪.০৭ বর্গ কিঃমিঃএ জেলার উত্তরে চাঁদপুর, পূর্বে নোয়াখালী, দক্ষিন পশ্চিমে মেঘনা নদী এবং অপর পাড়ে ভোলা ও বরিশাল জেলাএ জেলা ছোট বড় অনেক নদী ও খাল নিয়ে মেঘনা বিধৌত অঞ্চল

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবন নির্মাণ : লক্ষ্মীপুরে ২৩ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ করেছে জেলা জজ ও জেলা আইনজীবী সমিতি। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ তলা ভবনের জন্য এ কোর্ট ভবন নির্মাণ কাজটি লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঢাকার ঠিকাদার আবদুল খালেক গত ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু করেন। তবে এসব অনিয়মের অভিযোগ মানতে নারাজ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান আখন্দ। 
আইন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ১২ তলা নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এ বছরের ৮ জানুয়ারি আইন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এরপর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। এ কাজে নিম্নমানের পাথর, বালি, রড ও সিমেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটওয়ারী বাধা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। ৫ সেপ্টেম্বর ওই ভবন নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কিত তদারকি কমিটির এক সভা জেলা দায়রা জজ এসএম সোলায়মানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও গণপূর্ত বিভাগের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে জানানো হয়, ভবনটি নির্মাণ কাজে ত্রুটির কারণে বহু লোকের জীবননাশের আশঙ্কা আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা জজ স্বাক্ষরিত একটি অনুলিপি ১৩টি দফতরে পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের কাজ শুরু করে। এরপর নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এনে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রাক্কলিত মূল্য, কাজ শুরু ও শেষ— এ জাতীয় কোনো লেখা সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি বলে জানান তারা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান মুন্সী বলেন, রড, সিমেন্ট, পাথর ও বালু ঠিকমত দেয়া হয় না। বালু ও পাথর পরিষ্কার ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো সঠিক জবাব দেয়নি।
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকট মো. নুরুল হুদা পাটওয়ারী ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সামছুল আলম জানান, যে নির্মাণসামগ্রী দিয়ে পিলার তৈরি করা হচ্ছে এর ফলে যে কোনো সময় পিলারগুলো ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে বহু প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান আখন্দ বলেন, পাথর, বালু, রড ও সিমেন্ট বুয়েট দ্বারা পরীক্ষিত। সুতরাং এসব নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের নয়। আইনজীবী সমিতি ও জেলা দায়রা জজ এসএম সোলায়ামান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত হলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এ প্রকল্পটি নিখুঁত ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে— এমনটাই আশা করেন জেলাবাসী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন